বাংলাদেশের চারপাশে জালের মতো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে অসংখ্য নদ-নদী।কোনোটা বড়,আবার কোনোটা ছোট। অসংখ্য নদ-নদী থাকার কারণে বাংলাদেশকে নদীমাতৃক দেশ হিসেবে অভিহিত করা হয়।কিন্তু আমাদের দেশের প্রকৃত নদ-নদীর সংখ্যা কত??চলুন জেনে নেই বাংলাদেশের নদ-নদী সম্পর্কিত কিছু তথ্য।
বাংলাদেশের পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) নদীগুলোর একটা হিসাব রেখে সংখ্যাবদ্ধ করার চেষ্টা করেছে এবং প্রতিটি নদীর একটি পরিচিতি নম্বর দিয়েছে।তাদের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশে নদীর সংখ্যা এখন ৪০৫টি। এই হিসাব অনুযায়ীঃ
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী=> ১০২টি
উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী=> ১১৫টি
উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী=> ৮৭টি
উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী=> ৬১টি
পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের নদী=> ১৬টি
দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী=> ২৪টি

চলুন বাংলাদেশের নদ-নদী গুলোর কিছু তাত্ত্বিক বিশ্লেষণ দেখে নিইঃ
- দীর্ঘতম নদী=> সুরমা (দৈর্ঘ্য ৩৯৯ কিঃমি)
- ক্ষুদ্রতম নদী=> গোবরা (৪ কিঃমি)
- প্রশস্ততম নদী=> মেঘনা (গড় প্রস্থ ৩৪০০ মিঃ)
- গভীরতম নদী=> মেঘনা (গড় গভীরতা ২৭ মিটার)
- বৃহত্তম নদী=> মেঘনা (সেকেন্ডে ৩৮১২৯ কিউসেক পানি প্রবাহিত হয়)
- সবচেয়ে খরস্রোতা নদী=> কর্ণফুলী
- ব্যাক্তির নামে নদীর নাম=> রূপসা (রূপলাল সাহার নামানুসারে)
- নদীর নামে জেলার নাম=> ফেনী (ফেনী নদীর নামানুসারে)
- বাংলাদেশ ও ভারতকে বিভক্তকারী নদী=> হাড়িয়াভাঙ্গা
- বাংলাদেশ ও মিয়ানমারকে বিভক্তকারী নদী=>নাফ নদী
- একমাত্র যে নদী বাংলাদেশ থেক ভারতে প্রবেশ করেছে=> কুলিখ
- চলনবিলের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত নদী=> আত্রাই
- একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র =>হালদা নদী
- জোয়ার-ভাটা হয়না যে নদীতে=> গোমতী নদী
আপাতত এই পর্যন্তই।পরবর্তীতে বাংলাদেশের নদ-নদী নিয়ে আরও কিছু বিশ্লেষণধর্মী তথ্যসহ আপনাদের সামনে হাজির হবো ইনশাআল্লাহ।