আয়তনে পৃথিবীর বড় দশটি দ্বীপ!!

আমাদের সমস্ত পৃথিবীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অসংখ্য সাগর-মহাসাগর।প্রতিটি সাগর মহাসাগরেরই রয়েছে অসংখ্য দ্বীপ।চারপাশে সমুদ্রের নীলাভ অথৈ জল।আর তারই মাঝখানে বুক উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে দ্বীপগুলো।চলুন আজ জেনে নেই আয়তনে পৃথিবীর বড় দশটি দ্বীপ সম্পর্কে বিস্তারিত সকল তথ্য ও উপাত্ত।

১.গ্রীনল্যান্ডঃ (২১,৬৬,০৮৬ বর্গ কি.মি)

আয়তনে পৃথিবীর বড় দ্বীপ গ্রীনল্যান্ডের আয়তন ২১,৬৬,০৮৬ বর্গ কি.মি।
দ্বীপটির জনসংখ্যা ৬০,০০০ জনের মতো।এখানে এস্কিমো জাতি বাস করে।রাজধানী শহর হল নুক।
এটি ভৌগোলিকভাবে উত্তর আমেরিকা মহাদেশের অংশ হলেও এটির মালিকানা ইউরোপের দেশ ডেনমার্কের অধীনে।

আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম দশটি দেশ গ্রিনল্যান্ড দ্বীপ
গ্রীনল্যান্ড দ্বীপ

মালিকানা ডেনমার্কের হলেও দ্বীপটি পুরো স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল।
এটি আয়তনে পৃথিবীর বড় দ্বীপ গুলোর মধ্যে থাকা খুব নিকটাবর্তী।
দ্বীপটির ৮০% ভূমিই বরফে আচ্ছাদিত।এছাড়া উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা না থাকায় জনবসতি অনেক কম। ধারণক্ষমতার দিক দিয়ে এন্টার্কটিকা মহাদেশের পরেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশী হিমবাহ রয়েছে গ্রীনল্যান্ডে।
দ্বীপটির অধিকাংশ মানুষই মৎস শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে।
গ্রিনল্যান্ডেও বছরের নির্দিষ্ট সময়ে (মে-জুলাই) স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশগুলোর মতো নিশীথ সূর্য দেখা যায়।

২.নিউগিনিঃ (৭,৮৫,৭৫৩ বর্গ কি.মি)

ওশেনিয়া মহাদেশের বৃহত্তম দ্বীপটির আয়তন ৭,৮৫,৭৫৩ বর্গ কি.মি।
দ্বীপটি ইন্দোনেশিয়া ও পাপুয়া নিউগিনি র যৌথ মালিকানাধীন,যার পূর্বাংশ পাপুয়া নিউগিনি র ও পশ্চিমাংশ ইন্দোনেশিয়ার নিয়ন্ত্রণে।

পুরো পাপুয়া নিউগিনি দেশটি এ দ্বীপেই অবস্থিত,যার আয়তন ৪,৬২,৮৪০ বর্গ কি.মি।
দ্বীপটির পাপুয়া নিউগিনি অংশের জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ ও রাজধানী পোর্ট মোসর্বি।
দ্বীপটিতে ইন্দোনেশিয়ার ৩ টি রাজ্য অবস্থিত,যার মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৮ লক্ষের মতো।
এখানকার মানুষের প্রধান পেশা চাষাবাদ আর মৎস শিকার।
দ্বীপটি মূলত আদিবাসী অধ্যুষিত।বিভিন্ন জাতি-গোষ্ঠীর লোক বাস করে নিউগিনিতে।
পাপুয়া-নিউগিনিতে সর্বমোট ৮৬০ টি মাতৃভাষা প্রচলিত আছে,ফলে দেশটি বিশ্বের সর্বাধিক মাতৃভাষার দেশ হিসেবে বিবেচিত।

৩.বোর্নিওঃ (৭,৪৩,৩৩০ বর্গ কি.মি)

এশিয়া মহাদেশের বৃহত্তম দ্বীপ বোর্নিও র আয়তন ৭,৪৩,৩৩০ বর্গ কি.মি। আয়তনে পৃথিবীর বড় দ্বীপ গুলোর এর মধ্যে তৃতীয়।
পাপুয়া নিউগিনির মতো এই দ্বীপটিও যৌথ নিয়ন্ত্রণাধীন।
দ্বীপটিতে ইন্দোনেশিয়া,মালয়েশিয়া ও ব্রুনাই এর মালিকানা রয়েছে।

বোর্নিও দ্বীপ
বোর্নিও দ্বীপ

এর ইন্দোনেশিয়া অংশের আয়তন ৫,৩৯,২৩৮ বর্গ কি.মি,জনসংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৭০ লক্ষ।
মালয়েশিয়া অংশের আয়তন ২,৯৮,৪৪৭ বর্গ কি.মি,জনসংখ্যা ৬০ লক্ষ।
ব্রুনাই অংশের আয়তন ৫৭৬৫ বর্গ কিমি,জনসংখ্যা ৪ লক্ষ ৬০ হাজার।পুরো ব্রুনাই দেশটিই দ্বীপটিতে অবস্থিত।
এখানকার সবচেয়ে বড় শহর সামারিন্দা যা ইন্দোনেশিয়াতে অবস্থিত।
দ্বীপটিতে নানা জাতি-গোষ্ঠীর লোক বাস করে।তাই এখানে ১৭০ রকমের ভাষার প্রচলন রয়েছে।
বোর্নিও পর্বতময় ও রেইনফরেস্টে ঘেরা।
বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীন রেইনফরেস্ট এই দ্বীপটিতেই রয়েছে,যা প্রায় ১৪ কোটি বছর আগে তৈরি হয়েছিলো।
ক্রান্তীয় জলবায়ু বিরাজ করায় দ্বীপটির তাপমাত্রা কিছুটা উষ্ণ।তাই এখানে প্রচুর পাম ও রাবার চাষ করা হয়।

৪.মাদাগাস্কারঃ (৫,৮৭,০৪১ বর্গ কি.মি)

আফ্রিকা মহাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ মাদাগাস্কারের আয়তন ৫,৮৭,০৪১ বর্গ কি.মি।জনসংখ্যা প্রায় ৩ কোটির মতো।

এটি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম দ্বীপরাষ্ট্র।
দেশটির রাজধানীর নাম আনতানানারিভো।ধারণা করা হয় প্রায় ১৩০০ বছর আগে দ্বীপটিতে জনবসতি গড়ে ওঠে।

মাদাগাস্কার দ্বীপ

দ্বীপটি বিশ্বে সুপরিচিত এর বিচিত্র ও অনন্য কিছু উদ্ভিদ ও প্রাণীদের জন্য।
বিশ্বের প্রায় ১১ হাজার এন্ডেমিক উদ্ভিদ রয়েছে দ্বীপটিতে,যা বিশ্বে আর কোথাও পাওয়া যায়না।
প্রাণীদের মধ্যে লেমুর ও উদ্ভিদদের মধ্যে বাওবাব গাছ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
মাদাগাস্কারের আবহাওয়াও কিছুটা বিচিত্র।মূলত এখানে উপ-ক্রান্তীয় জলবায়ু বিরাজমান।
এর উপকূলীয় অঞ্চলে গীষ্মমন্ডলীয়,মধ্যভাগে নাতিশীতোষ্ণ ও দক্ষিণে কিছুটা শুষ্ক আবহাওয়া অনুভব হয়।
প্রচুর খনিজ সম্পদ থাকা স্বত্বেও দ্বীপটিতে এখনো প্রায় ৮০% মানুষ দারিদ্রসীমার নিচে বাস করে।দেশটির অর্থনীতি মূলত কৃষি ও পর্যটনের উপরে নির্ভরশীল।

৫.বাফিনঃ (৫,০৭,৪৫১ বর্গ কি.মি)

উত্তর আমেরিকাতে অবস্থিত কানাডার সবচেয়ে বড় দ্বীপটির আয়তন ৫,০৭,৪৫১ বর্গ কি.মি।

বিশ্বের বৃহত্তম দশটি
এটি গ্রীনল্যান্ড ও কানাডার মূলভূমির মাঝে অবস্থিত,যা নুনাভুট অঞ্চলের অন্তর্গত।নুনাভুটের রাজধানী ইকালুইট এই দ্বীপটিতেই অবস্থিত।
ইংরেজ অভযাত্রী উইলিয়াম বাফিনের নামানুসারে দ্বীপটির নামকরণ করা হয়।

বাফিন দ্বীপ
বাফিন দ্বীপ

আর্কটিক সার্কেলের অন্তর্গত হওয়ায় এখানকার আবহাওয়া অত্যন্ত চরমভাবাপন্ন এবং পাহাড়-পর্বতে ঘেরা এক বিরানভূমি।প্রায় সারাবছরই দ্বীপটি পুরু বরফে আচ্ছাদিত থাকে।তাই কৃষি ও শিল্পায়নের উপযোগী নয়।এজন্য বিশাল এই অঞ্চলে মাত্র ১৪ হাজার লোক বাস করে।
বাফিনে প্রায় ৩০০০ বছর আগে জনবসতি গড়ে উঠেছে,যেখানকার বেশীরভাগ মানুষই আদিবাসী
দ্বীপটিতে মাত্র ১৫ ধরনের স্তন্যপায়ী প্রাণী বাস করে।এর মধ্যে মেরু ভাল্লুক,লাল শেয়াল,আর্কটিক নেকড়ে উল্লেখযোগ্য।
অন্যান্য স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশগুলোর মতো বাফিন দ্বীপ থেকেও জুন ও জুলাইয়ে নিশীথ সূর্য দেখা যায়।

আরও পড়ুনঃ বিশ্বের দীর্ঘতম দশটি নদীর তালিকা।

৬.সুমাত্রাঃ (৪,৭৩,৪৮১ বর্গ কি.মি)

এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত দ্বীপটি ইন্দোনেশিয়ার একক মালিকানাধীন।এর আয়তন ৪,৭৩,৪৮১ বর্গ কি.মি।
সুমাত্রার জনসংখ্যা ৬ কোটি ১০ লক্ষ,যা একে বিশ্বের ৫ ম জনবহুল দ্বীপে পরিণত করেছে।সর্ববৃহৎ শহর মেদান।

সুমাত্রা দ্বীপ
সুমাত্রা দ্বীপ

দ্বীপটির মানুষ ৫৩ ধরনের মাতৃভাষায় কথা বলে।প্রায় ২০০০ বছর ধরে এখানে জনবসতি রয়েছে।
ক্রান্তীয় অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এখানে তাপমাত্রা অনেকটাই গরম।সাথে নিরক্ষীয়রেখার মধ্যভাগে অবস্থিত হওয়ায় দ্বীপটিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়।
ফলে প্রচুর পরিমাণে কফি,পাম ও রাবার চাষ করা হয় এখানকার উচরচভূমিগুলেতে।
সুমাত্রা ভৌগলিকভাবেও বৈচিত্র্যময়।দ্বীপটিতে অসংখ্য পাহাড়,সক্রিয় আগ্নেয়গিরি,রেইন ফরেস্ট,ম্যানগ্রোভ বন সবকিছুই রয়েছে।
সুমাত্রার অধিক বনাঞ্চলের কারণে একে “নিরক্ষীয় অঞ্চলের পান্না” বলে সম্বোধন করা হতো।এখানে অবস্থিত রেইন ফরেস্টটি বিশ্বের ৪র্থ বৃহত্তম।
তবে নগরায়ন ও পামবাগানের জন্য গত ৩৫ বছরে দ্বীপটির ৫০% রেইনফরেস্ট কেটে ফেলা হয়েছে।প্রতিবছর গড়ে ০.৪৬ মিলিয়ন একর বনভূমি উজাড় হয়ে যাচ্ছে সুমাত্রা থেকে।

৭.হনশুঃ (২,২৭,৯৬০ বর্গ কি.মি)

এশিয়া মহাদেশে অবস্থিত হনশু দ্বীপটিকে জাপানের মূলভূমি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।এর আয়তন ২,২৭,৯৬০ বর্গ কি.মি।

এটি আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপ গুলোর মধ্যে সপ্তম।
ইন্দোনেশিয়ার জাভার পর একেই বিশ্বের ২য় জনবহুল দ্বীপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

হনশু দ্বীপ
হনশু দ্বীপ


দ্বীপটিতে প্রায় ১১ কোটি মানুষ বাস করে যা জাপানের মোট জনসংখ্যার ৮২%।
জাপানের রাজধানী টোকিও এ দ্বীপেই অবস্থিত।এছাড়া ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র,হিরোশিমাও হনশুতে অবস্থিত।
অর্থনৈতিকভাবেও দ্বীপটি জাপানের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।জাপানের প্রধান অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো এখানেই অবস্থিত।জাপানের জিডিপির ৮০% ই সরবারহ করে দ্বীপটি।
হনশু জাপানের অন্য তিনটি বড় দ্বীপ হোকাইডো,কিউসু ও শিকোকুর সাথে সেতু অথবা টানেল দ্বারা সংযুক্ত।
ফলে জাপানের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে দ্বীপটি সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করে।
হনশুতে অসংখ্য পাহাড়,পর্বত ও আগ্নেয়গিরি রয়েছে,যার মধ্যে ৪০ টির মতো সক্রিয় আগ্নেয়গিরি রয়েছে।এখানে প্রচুর পরিমাণে ভূমিকম্পও হয়।
এখানকার জলবায়ু আর্দ্র উপক্রান্তীয় ও মহাদেশীয় সংমিশ্রণ।
তাই, উত্তর দিকে প্রায় সারাবছর শীতল,তুষারাচ্ছন্ন।
দক্ষিণ-পশ্চিমে উপক্রান্তীয় হওয়ায় তুলনামূলক উষ্ণতা বিরাজ করে।ফলে ব্যপক ধান চাষ হয় অঞ্চলটিতে।

আরও পড়ুনঃ যেদেশগুলো একাধিক মহাদেশে অবস্থিত।

৮.ভিক্টোরিয়াঃ (২,১৭,২৯১ বর্গ কি.মি)

কানাডার দ্বিতীয় বৃহত্তম দ্বীপ ভিক্টোরিয়ার আয়তন ২,১৭,২৯১ বর্গ কি.মি।
দ্বীপটির পশ্চিমের তিন-চতুর্থাংশ কানাডার ইনুভিক অঞ্চল এবং বাকি অংশ নুনাভুটের মধ্যে অবস্থিত।
রাণী ভিক্টোরিয়ার নামানুসারে দ্বীপটির নামকরণ করা হয়।

ভিক্টোরিয়া দ্বীপ
ভিক্টোরিয়া দ্বীপ

আয়তনে বিশাল হলেও দ্বীপটির মোট জনসংখ্যা মাত্র ২১০০ জনের মতো।
এরমধ্যে ১৭০০ জনের মতো বাস করে দ্বীপের বৃহত্তম শহর কেমব্রিজ বে তে।
বাকি মানুষ বাস করে উত্তর পশ্চিমের উলুখাকটোকে।
ভিক্টোরিয়া আর্কটিক অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় এখানকার আবহাওয়া তুন্দ্রা অঞ্চলের মতো চরমভাবাপন্ন।
দ্বীপের বেশিরভাগ অংশ বরফে আচ্ছাদিত থাকে।বাকি ভূমিগুলো রুক্ষ ও অনুর্বর হওয়ায় এগুলো চাষাবাদেরও উপযোগী না।
এছাড়া উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা না থাকায় একানে কোনো কলে-কারখানাও গড়ে ওঠেনি।
এজন্য দ্বীপটির জনসংখ্যা এতোটা কম।
অন্যান্য আর্কটিক দ্বীপগুলোর মতো ভিক্টোরিয়া থেকেও জুন-জুলাই মাসে নিশীথ সূর্য দেখা যায়।

৯.গ্রেট ব্রিটেনঃ (২,০৯,৩৩১ বর্গ কি.মি)

ইউরোপ মহাদেশের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রেট বিটেনের আয়তন ২,০৯,৩৩১ বর্গ কি.মি।
দ্বীপটি যুক্তরাজ্যের একক মালিকানাধীন,যেখানে ইংল্যান্ড,ওয়েলস,স্কটল্যান্ড এর মূলভুমি অবস্থিত।
যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডন এ দ্বীপেই অবস্থিত।

গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপ
গ্রেট ব্রিটেন দ্বীপ

গ্রেট ব্রিটেনের জনসংখ্যা ৬ কোটি ৬৫ লক্ষ।জনসংখ্যার দিক দিয়ে ইন্দোনেশিয়ার জাভা,জাপানের হনশু দ্বীপের পরই গ্রেট ব্রিটেনের অবস্থান।
প্রায় ৪০০০০ বছর ধরে দ্বীপটিতে আধুনিক মানুষ বসবাস করে আসছে।
ইংলিশ চ্যানেল গ্রেট ব্রিটেনকে ইউরোপের মূলভূমি(ফ্রান্স) থেকে আলাদা করেছে।
তবে বহুবছর পূর্বে এটি নিম্নভূমি “ডগারল্যান্ড” এর মাধ্যমে ইউরোপের মূলভূমির সাথে সংযুক্ত ছিলো।সম্ভবত দীর্ঘদিনের ভূমিক্ষয়,বন্যা অথবা সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে এটি ইউরোপের মূলভূমি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়।
সেই “ডগারল্যান্ড” কেই বর্তমানে আমরা “ইংলিশ চ্যানেল” প্রণালী হিসেবে চিনি।
ইউরোপের মূলভূমি ও আটলান্টিক মহাসাগরের মাঝে অবস্থিত হওয়ায় গ্রেট ব্রিটেনের আবহাওয়া অনেকটা বৈচিত্র্যময়।
দ্বীপটির পশ্চিম ইংল্যান্ড,ওয়েলস ও স্কটল্যান্ডের তাপমাত্রা খুবই শীতল ও আর্দ্রতম।
পূর্বাঞ্চল শীতল ও শুষ্ক,উত্তরাঞ্চল শীতল ও আর্দ্রতম আর দক্ষিণ অংশের তাপমাত্রা উষ্ণ ও শুষ্কতম।
গ্রেট ব্রিটেনের অর্থনীতি মূলত এদের কল-কারখানা ও ব্যবসা-বানিজ্যের উপর নির্ভরশীল।

১০.ইলেসমেয়ারঃ (১,৯৬,২৩১ বর্গ কি.মি)

আর্কটিক অঞ্চলে অবস্থিত কানাডার তৃতীয় বৃহত্তম দ্বীপটির আয়তন ১,৯৬,২৩৬ বর্গ কি.মি।
এটি গ্রীনল্যান্ড ও ভিক্টোরিয়া দ্বীপের মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত।একই সাথে এটি কানাডার সর্বউত্তরের বিন্দু এবং গ্রহের সর্বউত্তরের অংশগুলোর মধ্যে একটি।
এটি কানাডার নুনাভুট অঞ্চলের অন্তর্গত এটি দ্বীপ।

ইলেসমেয়ার দ্বীপ
ইলেসমেয়ার দ্বীপ

ইলেসমেয়ারের জলবায়ু অত্যন্ত শীতল ও চরমভাবাপন্ন হওয়ায় এখানে জীবন-যাপন করা অত্যন্ত কষ্টকর ও চাষাবাদেরও উপযোগী না।
তাই,দ্বীপটির তিনটি বসতি তে মাত্র ১৪৪ জন মানুষ বাস করে।
আর্কটিক অঞ্চলের সবচেয়ে বেশী পাহাড়বেষ্টিত দ্বীপ এটি।এছাড়া এখানে মালভূমি ও সক্রিয় আগ্নেয়গিরিও রয়েছে।
তবে এর বেশীরভাগ অংশই পুরু বরফের হিমবাহ দ্বারা আচ্ছাদিত।
ইলেসমেয়ারের এক-পঞ্চমাংশ এলাকা জুড়ে “কুটিনির্পাক জাতীয় উদ্যান” অবস্থিত,যা কানাডার সর্ববৃহৎ পার্ক।
উত্তর আমেরিকা মহাদেশের সর্ববৃহৎ হ্রদ “লেক হ্যাজেন” এ দ্বীপেই অবস্থিত।

আরও পড়ুনঃ আয়তনে বিশ্বের বৃহত্তম দশটি দেশ।

তথ্যসূত্র:
১.https://www.britannica.com/place/Greenland
২.https://visitgreenland.com/articles/10-facts-nellie-huang/
৩.https://en.wikipedia.org/wiki/New_Guinea
৪.https://www.worldwildlife.org/places/madagascar?__cf_chl_tk=VI4wDURc_z2X_OhqURTNiEh5wO9V_NxBlG1oXc2r3tc-1720425453-0.0.1.1-4180
৫.https://borneoproject.org/7-things-you-might-not-know-about-borneo/
৬.https://www.travelbag.co.uk/blog/borneo/10-things-you-never-knew-about-borneo
৭.https://web.archive.org/web/20140209164131/http://populstat.info/Africa/malegasg.htm
৮.https://arcticbayadventures.com/arctic-bay-baffin-island/
৯.https://www.worldwildlife.org/places/borneo-and-sumatra
১০.https://www.eyesontheforest.or.id/backgrounders/sumatra
১১.https://geology.com/world/british-isles.shtml
১২.https://www.nhm.ac.uk/discover/first-britons.html
১৩.https://en.wikipedia.org/wiki/Great_Britain
১৪.https://en.wikipedia.org/wiki/Honshu
১৫.https://en.wikipedia.org/wiki/Victoria_Island
১৬.https://en-academic.com/dic.nsf/enwiki/43280
১৭.https://antropocene.it/en/2023/09/26/victoria-island/
১৮.https://borneoproject.org/7-things-you-might-not-know-about-borneo/

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back To Top